কোনো এক কারণে আজ দুপুরে এই বাড়িতে মোবাইল কোর্টের অভিযানে গিয়ে মনে হলো তাকে সাজা দেওয়াতো দূরে থাক, বরং কিছু টাকা এই পরিবারকে দিয়ে আসা উচিত। স্বামী-স্ত্রী ও তিন ছেলে-মেয়েসহ পাঁচ সদস্যের সংসার। ছোট্ট এই কুঁড়ে ঘরে একটি মাত্র ছোট খাট। এই ঘরের মধ্যেই রান্না, খাওয়া ও পাঁচজন মানুষের বসবাস। ঘরের চাটাইয়ের ভাঙ্গা বেড়ার যে কোনো দিক দিয়ে শিয়াল, কুকুর, সাপ বা মানুষও খুব সহজে প্রবেশ করতে পারে। এই ঘরেই রয়েছে বিয়ের উপযুক্ত দুইটি মেয়ে! দেখে খুব অমানবিক জীবন-যাপন মনে হলো। এটা সোনাপুর গ্রামের ইসলাম শেখের পরিবারের কাহিনী। এই পরিবারের এ অবস্থার পরিবর্তন খুব জরুরী। আমি যতদূর পারি এই পরিবারকে সরকারি সহযোগিতা প্রদান করবো। এমন এক কঠিন পরিস্থির স্বীকার হয়ে মেহেরপুর মুজিবনগর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা তার নিজের ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট দেন। এর পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। বিষয়টি নজরে আসে মেহরেপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জন প্রশাসন প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ফরহাদ হোসেনের পরে উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার পোষ্টে কমেন্ট করে ঐ পরিবারটির ঘর নির্মাণসহ প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করার জন্য নির্দেশ দেন।
মেহরেপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জন প্রশাসন প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন মুজিবনগর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাকে বলেন, মুজিবনগর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাকে অনেক ধন্যবাদ, তিনি এই অসহায় পরিবারটির দিকে সদয় দৃষ্টি দিয়েছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দরিদ্র মানুষের কল্যানে অনেকগুলো প্রকল্প গ্রহন করেছেন। এর মধ্যে, বিভিন্ন ভাতা, প্রশিক্ষন ও ঋন বিতরন, ঘর নির্মান ইত্যাদি। আমাদের হাতে ঘরের বরাদ্দ আছে এবং আমরা অসহায় পরিবারগুলো খুজে তালিকা করছি। আমি মুজিবনগর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাকে এই পরিবারটির জন্য সামর্থের মধ্যে প্রয়োজনীয় সবকিছু করার জন্য নির্দেশ দিচ্ছি।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই জন প্রশাসন প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ফরহাদ হোসেনের দৃষ্টি আকর্ষন করে পোস্ট দেয়।