মেহের আমজাদ, মেহেরপুর : ফুল সৌন্দর্যের প্রতীক, বিয়ের বাসর ঘর, শ্রদ্ধাঞ্জলী, ছোট বড় পারিবারিক বা সামাজিক অনুষ্ঠানে ফুলের চাহিদা বেড়ে যায় ব্যপক হারে। একসময় এই ফুল বিক্রি করে লাভের মুখ দেখেছে চাষি ও ব্যবসায়ীরা। কিন্তু এবছর ফুল চাষিদের মুখে হাসি নেই। করোনা ভাইরাসের প্রভাবে সকল অনুষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ফুল বিক্রি করতে না পারায় ক্ষতির মুখে পড়েছে ফুল চাষি ও ব্যবসায়ীরা।
স্নিগ্ধ বাতাসের দোলায় মাঠভরা ফুলেদের খেলা। গোলাপ, গান্দা আর রজনীগন্ধা ফুলের সমারাহ। এসব ফুলের সমারাহ এখন শুধু মাঠেই সৌন্দর্য বর্ধন করে চলেছে। নেই কোন ফুল প্রেমীদের আনাগোনা। মাঠেই নষ্ট হচ্ছে এসব ফুল। ফুল চাষে লোকশান হওয়ায় চাষিরা জমিতেই কেটে ফেলে দিচ্ছে সৌন্দর্য বর্ধনকারী এসব ফুল।
মেহেরপুর সদর উপজেলার গুচ্ছ গ্রামের ফুল চাষি ইসমাইল হোসেন বলেন, অন্যান্য চাষে বছরের পর বছর লোকশান হওয়ায় গত বছর ফুলের চাষ করেছিলাম, তেমন কোন রোগবালাই না হওয়ায় লাভ হয়েছিল ভালো। এ বছর আবারো দ্বিতীয় বারের মতো ফুলের চাষ করেছি। কিন্তু হঠ্যাৎ করে করোনা ভাইরাস আসায় ফুলের ব্যবসা শুরু হওয়ার আগেই ক্ষতির মুখে পড়ে গেছি।
মেহেরপুর মুজিবনগর উপজেলার ফুল ব্যবসায়ী শান্ত ইসলাম জানান, করোনা ভাইরাসের কারানে সকল অনুষ্ঠান বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এর আগে শ্রদ্ধাঞ্জলি, বিয়ের বাসরঘর, সামাজিক বিভিন্ন অনুষ্টানে ফুল বিক্রি করে প্রতি মাসে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা আয় হয়েছে কিন্তু এখন ফুলের চাহিদা না থাকায় ব্যবসাও ঠিকমত চলছে না। কর্মচারিদের বেতনও দিতে পারছি না।
মেহেরপুর সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাসরিন পারভীন বলেন, কিছু চাষি জেলায় ফুলের চাষ শুরু করেছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আস্তে আস্তে ফুলের চাষ বৃদ্ধি পাবে, তাদেরকে বিভিন্ন ভাবে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।