মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার মটমুড়া গ্রামে ১৫ কাঠা জমিতে আবাদকৃত ১৯০টি গাঁজা গাছ জব্দ করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ সুপার মুরাদ আলী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং গাঁজা গাছগুলো কেটে বাগানটি ধ্বংস করার নির্দেশ দেন। পরে গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওবায়দুর রহমানের নেতৃত্বে গাংনী থানা পুলিশের একটি টীম গাঁজা গাছগুলো কেটে তা জব্দ করে। গাঁজা চাষি দুলাল হোসেন আত্মগোপন করলেও তার স্ত্রী, ছেলে ও মেয়েকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবায়দুর রহমান জানান, মটমুড়া গ্রামের কাশেমের ছেলে দুলাল তার বসত বাড়ি সংলগ্ন ১৫ কাঠা জমিতে গাঁজা চাষ করছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গাংনী থানা পুলিশের একটি টীম বুধবার রাত থেকে ওই বাড়ি ও বাগান ঘিরে রাখে। টের পেয়ে বাগান মালিক দুলাল পালিয়ে যায়। পুলিশ দুলালের স্ত্রী শেফালি, ছেলে শাকিল এবং মেয়ে শিউলীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেয়।
দুলালের পরিবার জানায়, দুলাল একজন মাছ ব্যবসায়ী। সে ওই জমিতে কি চাষ করে তা আমরা জানি না। স্থানীয় লোকজন জানান, তার বাড়ীর সাথেই প্রাচীর ও বাঁশঝাড়ে ঘেরা থাকায় গাঁজা চাষের জমিটি আশেপাশের লোকজনের নজরে পড়েনি। তার বাড়ির আশে পাশে চলাফেরা করার সুযোগ নেই। ফলে কেউ বুঝতে পারে নি সে গাঁজা চাষ করছিল।
মেহেরপুর পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলী জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার রাত থেকেই দুলালের বাড়ি ও গাঁজা বাগান ঘিরে রাখে পুলিশ। বৃহষ্পতিবার সকালে গাঁজা বাগানের ১৯০টি গাঁজা গাছ কেটে সেগুলো আলামত হিসেবে জব্দ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেয়া হয়েছে তার স্ত্রী ও দুই সন্তানকে। সম্পৃক্ততা পেলে এদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া পলাতক দুলালের নামে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হবে। দুলালকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।